শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ন
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ঝড় ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) দিনগত রাত ১০টা থেকেই শুরু হয়ে তা অব্যাহত আছে। পানি বাড়ায় জেলার নদীগুলো ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে। স্বাভাবিকের থেকে কয়েকফুট পানি বেড়েছে। নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করে শুরু করেছে।
বুধবার (২০ মে) সকাল থেকেই সুগন্ধা-বিষখালীসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। গতরাত থেকে দমকা হাওয়াসহ থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার ৪৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রায় ৪০০ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশ্রাফুল হক জানান, জেলায় মোট ৪৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ রয়েছেন। মানুষের পাশাপাশি কয়েক হাজার গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্ট্রর (এনডিসি) আহমেদ হাছান মঙ্গলবার গভীর রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।এ সময় তার সঙ্গে জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, জেলা স্কাউট রেসপন্স টিমের সদস্য এস এম রেজাউল করিম সঙ্গে ছিলেন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. রিয়াদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল থেকেই আবারও মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসার জন্য বলা হচ্ছে। জেলায় মোট ৫টি সরকারি কন্ট্রোলরুম থেকে পরিস্থিতি তদরকি করছে প্রশাসন।